আগেকার দিনে রেফারিরা ঘড়ি পরত শুধু সময় দেখতে। সময়ের সাথে সাথে সেই ঘড়িতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখন আর শুধু সময় দেখার কাজেই ঘড়িকে ব্যবহার করেননা বিশ্বকাপের রেফারিরা। চলুন জেনে নেয়া যাক কি আছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দামের এই ঘড়িতে।
বিশ্বের যে কোনও ফুটবল ম্যাচে রেফারিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল হাতের ঘড়ি। লাল কার্ড বা হলুদ কার্ডের মতই অত্যাবশ্যকীয় হেয়ে গেছে হাতের ঘড়ি। বিশ্বকাপে রেফারিদের ব্যবহৃত ঘড়িটির নির্মাতা সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হাবলট। এই ঘড়ির দাম ৫,৪৮০ ডলার (প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা)। ৪৪ মিমি ডায়াল সাধারণত কালো সেরামিক এবং কালো টাইটানিয়ামের হয়। স্ট্র্যাপে রয়েছে কাতারের পতাকা। তবে কোনও রেফারি চাইলে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের যে কোনও একটির পতাকা আঁকাতে পারেন।
এ বারের বিশ্বকাপে মোট ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভার রেফারি। ছ’জন মহিলা রেফারিও রয়েছেন। তার মধ্যে স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট ম্যাচও খেলিয়ে দিয়েছেন। প্রত্যেক রেফারিকেই এই বিশেষ ঘড়ি দেওয়া হয়েছে।
স্মার্টঘড়িটিতে রয়েছে বিশেষ অ্যাপ যা স্বাস্থ্য ও গতিবিধি লক্ষ্য রাখে। ঘড়ির মাধ্যমে অফিশিয়ালদের সাথে সহজে যোগাযোগ করা ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। ঘড়ির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়ে যান অনফিল্ড রেফারি।
ঘড়িতে রয়েছে বিভিন্ন চিপ, যার মধ্যে তথ্য পাঠানো হতে থাকে প্রতি মুহূর্তে। বল গোল লাইন পেরোলে, অফসাইড হলে, ভিএআরের রেফারিরা কোনও নির্দেশ দিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি কেঁপে (ভাইব্রেট) ওঠে। রেফারি বুঝতে পেরে যান। প্রয়োজনে তিনি খেলা থামিয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া কোনও ফুটবলারের সম্পর্কে তথ্যের দরকার হলে সেটাও পেতে পারেন রেফারি।
বিশ্বকাপের রেফারিদের জন্য এই ঘড়ি উপহার দেওয়া হচ্ছে কাতারে আসা ভিভিআইপি অতিথিদেরও। মোট ১০০০টি ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে। প্রাক্তন ফুটবলার লুইস ফিগো, মার্সেল দেসাই এই ঘড়ি পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য এখনও বাজারে আনা হয়নি এই ঘড়ি।